নিজস্ব প্রতিনিধি:
এক ঘণ্টা অবরোধের পর বিমানবন্দর সড়ক থেকে সরে গেছেন বাসচাপায় নিহত নাদিয়ার সহপাঠীরা। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা। এরপর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাওলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে অবস্থান নেন নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- ভিক্টর বাসের রুট পারমিট বাতিল করা, নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বাসচালক ও হেলপারের গ্রেফতারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দেওয়া, এবং কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করা।
তবে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর ও উত্তরাগামী সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাখালী, বাড্ডা ও গুলশান এলাকায় সৃষ্টি হয়েছিল যানজট।
এর আগেও রোববার নাদিয়া নিহতের পর বিকেলে কাওলায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন তার সহপাঠীরা। তবে পুলিশের অনুরোধে সন্ধ্যার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
এদিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের ঘাতক বাসটির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় সার্জেন্ট টাওয়ারের পেছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন চালক মো. লিটন ও হেলপার মো. আবুল খায়ের। তাদের দুজনের বাড়ি ভোলায়। দুর্ঘটনার পর তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গতকাল দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোডে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে ভিক্টর পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর