নিজস্ব প্রতিনিধি:
আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন । এই সম্মেলনকে সামনে রেখে ডিসিরা ২৪৫টি সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশনে এগুলো আলোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। তবে গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মাঠ প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হবে। মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, সমস্যা, সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয়ে খোলামেলা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনাররাও। এ সেশনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোশেসনে যোগ দেবেন বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা।
কর্মকর্তাদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় বিআইসিসিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে কার্য-অধিবেশন। প্রথম কার্য-অধিবেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থাগুলোর প্রধানরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রথম কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিনে দ্বিতীয় কার্য-অধিবেশন শুরু হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনগুলো অধিকাংশই ধারাবাহিকভাবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্টমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবরা উপস্থিত থাকেন। দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশনে অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনে মাঠ প্রশাসন থেকে আসা ২৪৫টি প্রস্তাব বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে আলোচনা হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বেলা ৪টায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ডিসিরা। প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা গ্রহণ শেষে মাগরিবের নামাজ ও চায়ের বিরতির পর ডিসিরা যাবেন জাতীয় সংসদ ভবনে। জাতীয় সংসদ ভবনে তারা স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন। পরে স্পিকারের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন। সম্মেলনের তৃতীয় দিন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ডিসিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নির্দেশনা নেবেন। একইদিন রাত ৮টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য ও নৈশভোজের মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত হবে।
এবার সম্মেলনে মোট ২৬টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২০টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে।
সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ অংশ নেবে। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন। এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন স্বাস্থ্যসেবা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ২৩টি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৫টি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৩টি, সুরক্ষা সেবা বিভাগের ১১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১০টিসহ মোট ২৪৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন ও প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর