বুধবার, জানুয়ারী ২৫, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ২০২৩ সাল হবে গুজব-অপপ্রচারের বছর। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, দেশে গুজব ও অপপ্রচার বেড়েছে। আমরাও আশঙ্কা করছি এ বছর সবচেয়ে বেশি গুজব হবে। এ অবস্থায় আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গুজব রোধে আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। আমরা যেন গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি, জেলা প্রশাসকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব দেখেন, বিটিআরসিতে জানালেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশের বেশি জায়গায় ফোরজি সেবা ছড়িয়ে দিয়েছি। এখন ফাইভজি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ফাইভজি ফোরজি থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, আমাদের ১০ কোটিরও বেশি মোবাইলে ইন্টারনেট গ্রাহক আছে, আর কিছু ফিক্সড ইন্টারনেট গ্রাহকও আছে। আমাদের মোবাইল ইন্টারনেটকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু দেশের বিভিন্নপ্রান্তে আমরা টাওয়ার বসাতে পারছি না। কিছু লোক অপপ্রচার চালায় টাওয়ার থেকে রেডিয়েশন ছড়ায়। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি, এগুলো অপপ্রচার। আমাদেরকে টাওয়ার বসাতে দিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাবান্ধায় ভারতের নেটওয়ার্ক চলে আসে, আমরা দিতে পারি না। টাওয়ার বসানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমার সীমান্তেও আমরা টাওয়ার বসাতে পারছি না। তাদেরও নেটওয়ার্ক চলে আসে। কিন্তু আমাদের নেটওয়ার্ক সীমান্ত এলাকায় কম চলে। মোস্তফা জব্বার বলেন, আজকের বাংলাদেশ টেলিফোন নির্ভর নয়, ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। অবৈধ আইএসপি বেড়েছে। বিটিআরসির লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন আইএসপি ব্যবহার করতে না পারে আপনারা ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ব্যবহার করলে গুজবের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। বিটিআরসির যে লাইসেন্স দেয়, সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। স্থানীয় পর্যায়ে আইএনপি ব্যবসা নিয়ে সমস্যায় পড়ি। আশা করছি জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব।
/আইপি