মাহবুবুল আলম রিপন, ধামরাই:
ঢাকার ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া বাজারের ইসমাইল সুইটস এর ক্ষীরমোহন অনন্য এক মিষ্টান্নের নাম। অনেকেই ভীষণ ভোজনপ্রিয় মানুষ। খাবারের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আর যদি সেটা হয় মন জুড়ানো মিষ্টি গন্ধ, তাহলে তো কথাই নেই। এই সুস্বাদু মুখরোচক খাবারটি হচ্ছে কাওয়ালীপাড়ার ‘ক্ষীরমোহন’। দুধ, চিনি, ঘি, দুধের ছানা, ময়দা, তেজপাতা, ছোট এলাচ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ঘন রসযুক্ত মিষ্টান্ন।
ধামরাই উপজেলার গ্রামাঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস, লতা-পাতাসহ নানা গো-খাদ্য বাড়িতে পালা গাভিকে খেতে দেয়া হয়। তাই এই এলাকার গরুর দুধ খাঁটি দুধের গুনাগুণ সমৃদ্ধ। সেই দুধ থেকে তৈরি হয় এই ক্ষীরমোহন।
প্রসঙ্গত, ক্ষীর ও মোহনের সংমিশ্রণে তৈরি হয় ক্ষীরমোহন। দুধ ক্ষীরে পরিণত হলে ও মিষ্টির ভেতরে ক্ষীর ঢুকে গেলে তৈরি হয় অমৃত স্বাদের ক্ষীরমোহন।
ইসমাইল সুইটস এর কর্মচারী মোঃ বাদশা মিয়া বলেন, খাঁটি ছানা থেকে তৈরি মিষ্টি প্রথমে গরম চিনির রসে জ্বাল দেয়া হয়। মিষ্টি হয়ে এলে তা থেকে রস ঝরিয়ে নিয়ে দুধে জ্বাল দেয়া হয়। দুধ ক্ষীরে পরিণত হলে ও মিষ্টির ভিতরে ক্ষীর ঢুকে গেলে তৈরি হয় লোভনীয় ‘ক্ষীরমোহন’। সাধারণত ১ মণ দুধ জ্বাল দিয়ে ১৭ থেকে ১৮ কেজি ক্ষীর তৈরি করা হয়। এতে যুক্ত হয় ২৫০ গ্রাম ঘী। এর সাথে ৮ কেজির মত মিষ্টি ক্ষীরে জ্বাল দিয়ে ২৪/ ২৫ কেজি ক্ষীরমোহন বানানো হয়। এর স্বাদ নিতে আসেন ছোট-বড় সকলেই। প্রতিটি ক্ষীরমোহন ৫০ টাকা এবং ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয় ।
ক্ষীরমোহন খেতে আসা ভোজনপ্রিয় মানুষ মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, ক্ষীরমোহনের স্বাদ ও গন্ধ থেকেই জিভে পানি আনার মতো। এই খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি নিয়ে গেলেও এই রসমালাইকে গুরুত্ব দেয়।
এমআই