মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে জেলা পুলিশ নোয়াখালী কর্তৃক এতিমদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সুবর্ণচর উপজেলার দারুল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এরপর পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে নিজের ছেলে শাহজালাল ইসলাম সাফিরসহ ইয়াতিমের সাথে প্রীতিভাজে অংশ নেন তিনি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাই। কিন্তু এতিম শিশুদের মুখে এসব খাবার জোটে না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আবারও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছি। তাদের জন্য একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পেরে আমি আনন্দিত। সবার সাথে কথা বলেছি। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমি পাশে আছি।
মো. শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দুইশ ইয়াতিম শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। জেলা জুড়ে ১০ থানায় এই কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সেনবাগ থানায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। স্বচ্ছল মানুষের উচিত সমাজের এসব সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এভাবে পর্যায়ক্রমে পুরো জেলার সব থানায় কম্বল বিতরণ করা হবে।
এ সময় পুলিশ সুপার (সিআইডি) মো. বশির আহমেদ, পুলিশ সুপার (পিবিআই) মিজানুর রহমান মুন্সী, কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার (ইন সার্ভিস ট্রেনিং) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহসহ মাদরাসার শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার দারুল কোরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাবারের আয়োজন করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। সে সময় তিনি ইয়াতিম শিশুদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং সব সময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তার অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ লাইন্সে কম্বল বিতরণ ও মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর