খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে যাওয়া মসজিদের পেশ ইমাম শাইখ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ বিন বাহার (৩২) নামের তিন সন্তানের জনককে আটক করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুরা সর্দার পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।আটক হাবিবুল্লাহ্ মাগুরা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের শৌলমারী মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত্যু বাহার উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে ।
স্থানীয়রা জানায়,ওই মসজিদে গ্রামের শিশুদের নিয়ে সকালে মক্তব পড়াকালিন সময়ে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও মাদ্রাসায় তাদের মন দেয়া নেয়া হয়। ওই শিক্ষকের একটি (ইনফিতার টিভি) নামে ইউটিউব চ্যানেল আছে। যাহার বিষয়ে ওই ছাত্রীকে জানায় ইমাম। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ঢাকা পালিয়ে নিয়ে যায় ইমাম হাবিবুল্লাহ বিন বাহার । ওই দিন সকালে ছাত্রী তার নিজ প্রতিষ্ঠান মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে ওই শিক্ষার্থী বাড়ীতে ফিরে না আসলে মেয়ের বাবা তাদের আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেন। কোথাও কোন সন্ধান না পেয়ে ২৬ জানুয়ারী মেয়ের বাবা রাতে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার জিডি নং ১৩৯৫।
পরে মুঠোফোনের সূত্র ধরে মেয়ের পরিবার ইমাম ও ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে রংপুরে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ীতে ডেকে আনে। সেখানে ইমাম ও ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন মেয়ের পরিবার। মেয়ের পরিবারে ওই ইমামকে নিয়ে আসলে এলাকাবাসী ইমামকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে মাগুড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন সিহাব ওই ইমামকে উদ্ধার করে তার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। পরে উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিষয় টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়ের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এমআই