নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে। আজ সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ২০১৪ সালে, ২০১৮ সালে নির্বাচিত করেছে। তার একটি মাত্র কারণ আমরা তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা আর সেটাই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ যারা একবেলা ক্ষুধার অন্ন জোগাড় করতে পারত না। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশের মানুষকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা দেয়াই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়নটা হতে পারেনি। ’৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। স্যাটেলাইট যুগের বাংলাদেশ। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আমরা পরমাণু শক্তির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছি। আমরা পরমাণু বোমা বানাবো না কিন্তু আমরা বিদ্যুৎ তৈরি করছি। আমরা অন্তত সেটুকু করতে পেরেছি, পরমাণু ক্লাবে যোগদান করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যতি-ব্যস্ত, উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, করোনাভাইরাসের অতিমারি, সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, যার ফলে আজকে ধনী দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের গতিধারা আমরা অব্যাহত রেখেছি। আমরা ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন না, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য কিন্তু আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর