আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাত্র কয়েক দিন আগেও ৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন গৌতম শান্তিলাল আদানি। এবার বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকা থেকেই ছিটকে গেলেন গৌতম শান্তিলাল আদানি। কিন্তু মার্কিন মার্কিন শর্ট-সেলার সংস্থার একটি মাত্র রিপোর্টের পরই টলে গেছে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার।
আর স্টক বাজারে ওই পতনেই নড়ে গিয়েছে গৌতম আদানির মোট সম্পদের অঙ্ক। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার লিস্টে প্রথম ১০-এর বাইরে চলে গেলেন গৌতম আদানি।
গত সপ্তাহে বুধবার আদানি গোষ্ঠীর আর্থিক দুর্বলতার রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আর এরই মধ্যে বিশ্বের দশ ধনীতমের তালিকা থেকেই বেরিয়ে গেলেন গৌতম আদানি। তার উত্থানের থেকেও যেন দ্রুত হারে হলো পতন। অনেকে মনে করছেন, এই হারে শেয়ার দর কমতে থাকলে আরো খারাপ অবস্থা হতে পারে। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির আসন খোয়াতে পারেন গৌতম আদানি।
গত কয়েক দিনে আদানি গোষ্ঠীর ৭টি শেয়ারে ধস নেমেছে। মার্কিন শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টই তার কারণ। উক্ত সংস্থার এক বিস্তৃত রিপোর্টে জানায়, আদানি গোষ্ঠী বর্তমানে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার 'ম্যানিপুলেশনে'র অভিযোগ তুলেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারা জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ঘাড়ে। তাছাড়া তাদের শেয়ারের ভ্যালুয়েশনও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে তাসের ঘর।
হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্টের পরেই হু-হু করে পড়তে শুরু করে আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দর। অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে, সোমবারের মধ্যেই প্রায় ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাওয়া হয়ে যায় আদানি গ্রুপের শেয়ার বাজার থেকে।
শুধু তাই নয়, এর মধ্যে গৌতম আদানির অংশের প্রায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেরিয়ে যায়। মাত্র ৩ দিনে যে কারও মোট সম্পদ এতটা পড়তে পারে, তা অভাবনীয়।
বর্তমানে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার পরই বিশ্বমঞ্চে ধনীতম মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স কর্মকর্তার মোট সম্পদ ৮২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সময় জার্নাল/এলআর