এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মাসের ১৯ শে ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ ই মার্চ।
নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ও যারা বর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এরা সহ ফরিদপুরের আ:লীগের প্রার্থীরা প্রস্তুতি হিসেবে ফরিদপুর জেলা কমিটি সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট দৌড় - ঝাপ ও সংযোগ শুরু করেছেন এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের লবিংয়ের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা অব্যাহত রেখেছে।
জানা যায়, গতবারের নির্বাচন যেভাবে হয়েছে এবারের নির্বাচনে সে সম্ভাবনা কম। গতবারের নির্বাচন হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার এপিএস ফুয়াদ প্রভাব খাটিয়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তি দুই জন প্রার্থী ডিগ্রীর চর ইউনিয়নের মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির ও ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মজনু কে নির্বাচিত করেছিলেন। শুধু নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ব্যতীত বাকিসকল প্রার্থীদের নির্বাচিত করেছিলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের ছত্রছায়ায়।
অপরদিকে এখন পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কি না এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
তবে এবারের ইউপি নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের নব নির্বাচিত জেলা আওয়ামী লীগ৷
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের জেলা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে, ওই কমিটি প্রকৃত আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের যাচাই বাছাই করে ৫ জন করে প্রতিটি ইউনিয়নের তালিকা করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই বাছাই ও পরীক্ষা করে প্রার্থীতার তালিকা প্রণয়ন করিবেন, তারাই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে। এছাড়া আমরা জেলা কমিটি তাদেরকে সহযোগিতা করবো।
এমআই