আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী বলেছেন, 'বাংলাদেশ-ভারতের যে সম্পর্ক এটা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্ত দিয়ে তৈরি করা। গত ৫০ বছর যাবৎ আমাদের এই সম্পর্ক আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সম্পর্কটা অন্য রকম উচ্চতায় চলে গেছে'।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারত থেকে মোংলা বন্দরে আসা বিলাসবহুল প্রমোদতরী 'গঙ্গা বিলাস' অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলদেশে বেশ কয়েকবার সফর করেছেন। এই সফরকে ঘিরে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উষ্ঞতা অনেক বড় বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধূলা এবং ব্যবসা বাণিজ্যেসহ সবধরনের সম্পর্ক রয়েছে। মোংলা বন্দরে ভারতের প্রমোদতরী 'গঙ্গা বিলাস' আসার মধ্য দিয়ে তা পশ্চিমা বিশ্বে পৌঁছে গেছে। তাদের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে চলে গেছে। গঙ্গা বিলাস জাহাজটি যখন বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাবে তখন বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বকে ছড়িয়ে দিয়ে আরও রঙ্গিন করে দিয়ে যাবে।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, সুইজারল্যান্ডের পর্যটক হ্যান্স কাফম্যান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। 'এমভি গঙ্গা বিলাস' বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বাংলাদেশের জলসীমায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ি প্রটোকল রুটের নাব্যতা রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশন প্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে বিআইডব্লিউটিএ। বিলাসবহুল 'গঙ্গা বিলাস' ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে ১৩ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের পর্যটকবাহী নৌযান 'এম ভি গঙ্গা বিলাস' গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে। 'গঙ্গা বিলাস' এর পর্যটকদের বাংলাদেশের খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আংটিহারায় অনবোর্ড ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি 'গঙ্গা বিলাস' বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করবে।
/আইপি