বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ভূমিকম্পে কেন মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া?

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩
ভূমিকম্পে কেন মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সোমবার ভোরে সিরিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে আঘাত হানা বড় ধরনের ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর আরো বেশ কয়েকটি আফটারশক বা ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূতি হয়। এর মধ্যে একটি কম্পন ছিল মূল ভূমিকম্পের মতোই শক্তিশালী। ফল্ট লাইন বরাবর প্রায় ১০০ কিলোমিটার ধরে এটি আঘাত হানে এবং এর কারণে ভবনগুলো মারাত্মক ক্ষতি হয়।

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফাউর ওয়াকার বলেন, যে কোনো বছরের তুলনায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত ১০ বছরের মধ্যে মাত্র দুটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল, আর এর আগের ১০ বছরে মাত্র চারটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল। তবে শুধু কম্পনের শক্তির কারণেই এত বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভোরের দিকে, যখন মানুষ ঘরের ভেতরে ঘুমাচ্ছিল। ভবনের দৃঢ়তাও একটি বিষয়।

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলকানো অ্যান্ড রিস্ক কমিউনিকেশন বিভাগের রিডার ড. কারমেন সোলানা বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত দক্ষিণ তুরস্ক এবং বিশেষ করে সিরিয়ায় অবকাঠামোগুলো খুব একটা ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। তাই জীবন বাঁচানো এখন নির্ভর করবে উদ্ধার তৎপরতার ওপর। জীবিতদের উদ্ধারে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪৮ ঘণ্টা পর জীবিত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যায়। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানে গত ২০০ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে কোনো বড় ভূমিকম্প হয়নি বা কোনো সতর্কতা সংকেতও ছিল না। তাই প্রায়ই ভূমিকম্প মোকাবিলা করে এমন অঞ্চলের তুলনায় এখানকার মানুষের প্রস্তুতির মাত্রা বেশ কম হবে।

পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ আলাদা বিট দিয়ে গঠিত, যাকে প্লেট বলা হয়, যা একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করে। এই প্লেটগুলো প্রায়শই নড়াচড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাশে থাকা অন্য আরেকটি প্লেটের সঙ্গে ঘর্ষণের মাধ্যমে এই নড়াচড়া প্রতিরোধ করা হয়। তবে চাপ বেশি বেড়ে গেলে কখনো কখনো একটি প্লেট হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দেওয়ায় ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ সরে যায়।

এবার এরাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যায় এবং উত্তর দিকে সরে যাওয়া আনাতোলিয়ান প্লেটে গিয়ে ধাক্কা দেয়। প্লেটগুলোর এই ধরনের ঘর্ষণের কারণে অনেক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এর কারণে ১৮২২ সালের ১৩ অগাস্ট ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল যা সোমবার হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় বেশ কম। তা সত্ত্বেও, উনিশ শতকের ভূমিকম্পের ফলে এলাকার শহরগুলোর প্রচুর ক্ষতি হয়, শুধু আলেপ্পো শহরেই ৭ হাজার মানুষ মারা যায়। ক্ষতিকর আফটারশক প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকে। বর্তমান ভূমিকম্পের পরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি আফটারশক হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এটি এই অঞ্চলে এর আগে হওয়া ভূমিকম্পের মতোই হবে।

এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল