বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৩
সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
হঠাৎ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক। ২০২৩ সালের শুরুতে জানুয়ারি মাসেই দুই ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রথমে ১৮ জানুয়ারি বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেহমুদ হোসেন পদত্যাগ করেন। এরপর মাসের শেষ সপ্তাহে বেসরকারি খাতের ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চেয়ারম্যান মাহবুব-উল-আলম পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
কেন হঠাৎ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা এভাবে পদত্যাগ করছেন এ বিষয় নিয়ে সময় জার্নালে সাথে কথা বলেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক পারভেজ।
চেয়ারম্যান এমডিদের পদত্যাগের বিষয়ে অধ্যাপক পারভেজ বলেন, ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতিতে মালিকপক্ষ, পরিচালকরা যেমনি জড়িত তেমনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডিরাও জড়িয়ে পড়ছেন দুর্নীতিতে। এদের দশ বছর আগের সম্পদের পরিমাণ ও বর্তমান সম্পদের তদন্ত করলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
তবে পদত্যাগ করা সব কর্মকর্তা দুর্নীতিগ্রস্ত নয় বলে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে টিকে থাকা দুরূহ। যার কারণে ন্যাশনাল ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
প্রফেসর পারভেজ বলেন, ব্যাংকের পরিচালকরা ঠিক থাকলে, দুর্নীতিগ্রস্ত না হলে কর্মকর্তারা (এমডি, এএমডি) দুর্নীতি করতে পারেনা। ব্যাংকগুলোতে যে দুর্নীতি হচ্ছে এগুলো সকলের সমন্বয়ে হয়।
ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদত্যাগে ব্যাংকের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে কিনা জানতে চাইলে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, অবশ্যই মানুষের অনাস্থা তৈরি হবে কিন্তু এর বিকল্প না থাকায়। এই আস্থাহীনতায় মানুষ চিনবে ভালো ব্যাংক।
এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাহিরে থেকে ঝলমলে হলেই সেটা ভালো নয়, সব ব্যাংক ভালো নয়। মানুষকে নিরাপদ ব্যাংক খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসকল ব্যাংকগুলোকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করেছে সেগুলো থেকে মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।
এমআই