এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া বাজারে শুক্রবার সকালে মাছ কিনাকে কেন্দ্র করে ৩ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এতে প্রায় ২০ গ্রামবাসী আহত হয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে দুই পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং গুরুত্ব আহত সুলতান মাতুব্বরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে মীরাকান্দা গ্রামের ফারুক মীর মাছ কিনতে পুকুরিয়া বাজারে যায়। এ সময় এক জেলের মাছ পছন্দ হলে ফারুক মীর ঐ মাছের দাম করে।
সেখানে দাড়িয়ে থাকা পুকুরিয়া গ্রামের করিম মাতুব্বর বলে আমি মাছের দাম করছি তুই (ফারুক) দাম করলি কেন ? এই নিয়ে প্রথমে ২জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুলতান মাতুব্বর ফারুক মীরকে থাপ্পড় মারে। তখন বাজারে গোস্ত বিক্রি করা নাজিরপুর গ্রামের কয়েকজন কসাই ফারুক মীরের পক্ষ নিয়ে করিম মাতুব্বরের পুত্র সুলতান মাতুব্বরকে বেধড়ক মারধর করে গুরুত্ব আহত করে।
মারধরের সংবাদ পেয়ে পুকুরিয়া গ্রামের লোকজন এবং নাজিরপুর ও মীরাকান্দা গ্রামের লোকজন ২ ভাগে ভাগ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন গ্রামবাসী আহত হয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর হস্তক্ষেরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জানান, সকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে । আমি সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই । কোন পক্ষেই অভিযোগ করেন নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর