মো.ইব্রাহীম প্রামানিক
বাঙালির প্রাণের মেলা বইমেলা। ভাষার মাসে লক্ষাধিক পুরোনো বইয়ের পাতা উলটানোর শব্দে মর্মরিত হয়ে ওঠে অমর একুশের বইমেলা। বইমেলায় লেখক, পাঠক ও প্রকাশকের মিলনস্থলে বেজে উঠে সহস্র আনন্দের ভেঁপু। ঐতিহ্যের পরম্পরায় আবারও শুরু হয়েছে বইমেলা।
প্রতিবছরের মত এবারও এসেছে হাজারো বই। লেখকদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিনেতা, কেউবা গানের শিল্পী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ পরিচালক কিংবা গীতিকার। তবে অমর একুশে বইমেলা তাদের আরও এক সৃজনশীল পরিচয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। বেঁধেছে এক সুতায়। তারা সবাই লেখক। এমনই একজন ফজলুল পলাশ। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ফজলুল পলাশের ভূত ভয়ঙ্কর ও রুপালি জোছনা দুটি বই প্রকাশিত হয়। এবারের গ্রন্থমেলায় এই বইগুলো পাওয়া যাবে- বাবুই প্রকাশনীতে, স্টল নং ৬৯১-৯২, শিশু চত্বর।
বইগুলোর মধ্যে উপন্যাস ‘রুপালি জোছনা' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা এবং ভৌতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা ‘ভূত ভয়ঙ্কর’।
ফজলুল পলাশ লেখালেখি শুরু করেন স্কুল জীবনের দেয়াল পত্রিকা থেকে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় একটু একটু করে লেখালেখির পরিসর বেড়েছে। ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লিখেন।
২০১১ সালে 'রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান' বইটির মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রক্তিম পলাশের দল’।
২০১৩ সালে দুটি বই প্রকাশিত হয়। একটি ভৌতিক বই ‘ভূত’ অপরটি কাব্যগ্রন্থ ‘গাংচিল ও আমি’। প্রতি বইমেলায় নিয়মিত তার লেখা বেরিয়েছে। বর্তমানে এই লেখকের লেখা বইয়ের সংখ্যা ১১টি।
সবশেষ ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘রুপালি জোছনা’ প্রকাশিত হয় বাবুই প্রকাশনী থেকে। লেখকের বইগুলোর মধ্যে ‘ভূত ভয়ঙ্কর’ সকল শ্রেণির পাঠকের কাছে উপভোগ্য হবে বলে লেখক বিশ্বাস করেন।
উল্লেখ্য, কর্ম জীবনে বর্তমানে তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতি বিভাগের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
/আইপি