আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্ক ও সিরিয়ার এ ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারে ছাড়িয়ে গেছে। এর মাঝে, তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে প্রায় পাঁচ দিন পর তিন ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটির বরাদ দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
কর্মকর্তারা জানান, ভূমিকম্পে নিশ্চিত মৃত্যু ২৪ হাজার ৩৫২। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৯ হাজার ৪৮৭ জন। ফলে এটি এই অঞ্চলে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল অন্তত ১৭ হাজার লোক।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি শুক্রবার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ১২০ ঘণ্টা পর একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে তিন ভাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
টিআরটি জানায়, ভূমিকম্পে হাতায় প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আন্তাকিয়া শহরে ওই ভবনটি থেকে তিন ভাইকে উদ্ধারে ৯ ঘণ্টা টানা কাজ করেন উদ্ধারকারীরা। ভবনটির দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত খুঁড়ে ১১ততম ঘণ্টায় প্রথম ভাইটিকে এবং ১১৯তম ঘণ্টায় তৃতীয় ভাইকে উদ্ধার করা হয়।
ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া একই পরিবারের ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কর্মীরা তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ইস্কেন্ডারানে ধসে পড়া একটি ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ধসে পড়া কাঠামোর মধ্যে ছোট এক জায়গায় একসঙ্গে আবদ্ধ ছিল। মুরাত বায়গুল নামের এক উদ্ধারকর্মী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য।
শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে এমন ভূমিকম্প ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। সুইস সিসমোলজিস্ট স্টেফান উইমার এ মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে চলতি সপ্তাহে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের বেশি সময়ও দেখেনি কাহরামানমারাসের মানুষ। সুইস টেলিভিশন চ্যানেল এসআরএফ, যেটি জার্মান থেকে সম্প্রচার হয় সেটিতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সময় জার্নাল/এলআর