সময় জার্নাল ডেস্ক:
ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। খামারে ব্রয়লার ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা।
মুরগির খাদ্য ও ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে লোকসান দিয়ে আসছেন। মাত্র কয়েকদিন হয়েছে ডিমের বাজারদর কিছুটা বেড়েছে। এতেও খামারিদের লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। অন্তত লোকসান থেকে বাঁচা যাবে।
ডিমের বর্তমান বাজারদর ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। গত ৬ মাস ধরে প্রতি পিস ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮ টাকায় স্থির ছিল। অথচ প্রতি পিস ডিম উৎপাদনে খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
এদিকে খাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে এতে বহু খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না হলে বাকি খামারিরাও নিরুপায় হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জাহাবুল ইসলাম বলেন, বারবার খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে ক্ষুদ্র খামারিরা প্রায় তিন বছর ধরে লোকসান দিয়ে আসছেন। অসংখ্য খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
১৫ দিন হয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে খামারিরা লোকসানের হাত থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু ডিমের দাম বৃদ্ধিতেও খামারিদের লাভ করার সুযোগ নেই। মুরগির খাদ্য, ওষুধ ও বিদ্যুতের মূল্য কমালেই কেবলমাত্র খামারিরা লাভবান হতে পারবেন।
সময় জার্নাল/এলআর