শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সর্বজনীন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশ

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৩
সর্বজনীন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশ

সময় জার্নাল প্রতিনিধি:


সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশের ওপরে বয়স্ক নাগরিকরাও পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসী কর্মজীবীরাও এই পেনশনের আওতায় অংশ নিতে পারবেন।গত ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিলটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩’ এর বিলটি উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।


প্রজ্ঞাপন জারির পর এই পেনশন স্কিমের আওতায় স্বেচ্ছায় যে কোনো প্রতিষ্ঠান আসতে পারবে। অন্য দিকে সরকারি, আধা সরকারি-স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৩১ জানুয়ারি আইনটিতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।


আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গেজেটে বলা হয়েছে, দেশের সর্বস্তরের জনগণের বিশেষত গড় আয়ু বাড়ার কারণে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করা প্রয়োজন এবং ভবিষ্যতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে নির্ভরশীলতার হার বাড়বে- এ কারণে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।


যিনি ধারাবাহিকভাবে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করবেন তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জিভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে আজীবন পেনশন প্রদান করা হবে; পঞ্চাশোর্ধ্বরা ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে যে বয়সে উপনীত হবেন সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন; প্রত্যেক চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে এবং কর্মস্থল পরিবর্তন হলেও নতুন হিসাব খোলার প্রয়োজন হবে না। কর্তৃপক্ষ থেকে সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারণ করা হবে; মাসিক চাঁদা প্রদানে দেরি হলেও বিলম্ব ফিসহ পেনশন হিসাব চালু রাখা যাবে।


আইনে বলা হয়েছে, ৭৫ বছরের আগে কোনো পেনশনার মারা গেলে পেনশনারের নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের পেনশন প্রাপ্য হবেন; ১০ বছর চাঁদা প্রদানের আগে কোনো পেনশনার মারা গেলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে দেওয়া হবে; কোনো প্রয়োজনে চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে নেওয়া যাবে এবং নির্ধারিত ফিসহ তা পরিশোধ করতে হবে; বিনিয়োগ বিবেচনায় চাঁদা কর রেয়াতযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।


আইন অনুযায়ী, পেনশন বাবদ জমাকৃত অর্থ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি ‘সর্বজনীন পেনশন তহবিল’ গঠন করা হবে। এ তহবিলে চাঁদাদাতার জমা, জমার হিসাব সংরক্ষণ, পুঞ্জিভূত অর্থেও সুষ্ঠু ও নিরাপদ বিনিয়োগ এবং পেনশন প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদিত হবে। এক বা একাধিক তফসিলি ব্যাংকে তহবিলের অর্থ রাখা যাবে।


সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পরিচালনায় আইন অনুযায়ী, একটি ‘জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এর প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। কর্তৃপক্ষের একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চার জন সদস্য থাকবেন এবং তারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। তাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্তবিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন নির্বাহী চেয়ারম্যান। কর্তৃপক্ষসহ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সরকার বহন করবে।


গঠিত কর্তৃপক্ষ স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন, সম্পত্তি অধিকারে রাখতে ও হস্তান্তর করতে পারবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে নিজ নামে ঋণ নিতে পারবে। কর্তৃপক্ষ নিজ নামে মামলা দায়ের এবং আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোক করতে পারবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের সুযোগ রাখা হয়েছে আইনে।


সময় জার্নাল ‍/এসএম




Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল