সময় জার্নাল ডেস্ক:
চারুকলার শিক্ষার্থীরা শেষ করছেন আল্পনার কাজ । ব্যস্ত রয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও। কেউ ঝাড়ু দিচ্ছেন, কেউ রয়েছেন তদারকিতে। এখন চলছে শেষ মূহুর্তের কিছু টুকিটাকি কাজ।
এদিকে, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন শহীদ মিনারের সীমানার ভেতর নিরাপত্তা তল্লাশি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থল তদারকি করছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে সাধারণ মানুষকে শহীদ মিনারের মূল বেদীর আশপাশে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এর পরপরই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন অন্যরা।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা রঙের ফুলে সুভাষিত হবে শহীদ বেদী। আর সেই বেদীকে প্রস্তুত করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। চলছে বেদী সাজানোর প্রস্তুতি।
এদিকে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে রাজধানীর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার শহীদ মিনারের নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থাকবে চারটি ওয়াচ টাওয়ার।
শহীদ মিনারে আগত সবাইকে আর্চওয়ে গেট দিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে হবে। আশপাশের এলাকাগুলোতে মোট ৮ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে সোয়াট, বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড।
অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ জানান, প্রস্তুতি সম্পন্ন।
সময় জার্নাল/এলআর