জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬ষ্ঠ সমাবর্তন আজ শনিবার। বেলা সাঁড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হবে সমাবর্তনের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এবারের সমাবর্তনে ১৫ হাজার ২১৯ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৪ জন, এমফিল ডিগ্রির জন্য ৩৪ জন, পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন এবং উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
দুপুর ১২টা থেকে সকল গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তন প্যান্ডেলে প্রবেশ করতে পারবেন। নিরাপত্তাজনিত কারনে দুপুর আড়াইটার পর সমাবর্তন প্যান্ডেলে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ সমাবর্তনে দুই ক্যাটাগরিতে মোট ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হবে স্বর্ণপদক সম্মাননা। স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সব বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। সমাবর্তনে স্বর্ণপদক জয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক তুলে দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খান।
এবারের সমাবর্তনে আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক, শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক ও মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড গোল্ড মেডেল প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
স্নাতক পর্যায়ে ৮ জনকে ‘আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক’ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭ জনকে ‘শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে। এছাড়া, স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে দর্শন বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফলপ্রাপ্ত একজনকে ‘মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২ বছরে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র পাঁচবার। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তনে ৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট, এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
সময় জার্নাল/এসএম