আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার রিয়েল টাইম ইনডেক্স চার্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়। খবর সিএনএন-এর।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন বার্নার্ড আর্নো। এবার ফরাসি বিলাসপণ্য কনগ্লোমারেট লুই ভিঁতো মোয়েত এনেসি (এলভিএমএইচ)-এর চেয়ারম্যান ও সিইও আর্নোকে পেছনে ফেলে আবারও
সোমবার স্টক মার্কেট বন্ধের আগ পর্যন্ত ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে সদ্য দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসা আর্নোর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছর মাস্কের টুইটার কেনার প্রসঙ্গে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এ বিতর্কের সরাসরি প্রভাব পরে মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে। যার ফলে অল্প সময়েই শেয়ারবাজারে বড় অঙ্কের অর্থ খুইয়েছিলেন মাস্ক।
তবে ২০২৩ সালে প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় ইতিবাচক ধারায় আবারও শেয়ারবাজারে সুবিধাজনক অবস্থায় ফিরছেন টেসলার সিইও।
বর্তমানে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭ বিলিয়ন ডলার হলেও বছর দেড়েক আগেও প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে! ঐ সময়ের হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের মালিক, ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের সম্পদের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টুইটারসহ নানা ইস্যুতে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ নেমে আসে মাত্র ১৩৭ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন সম্পদ খুইয়েছেন তিনি। এত কম সময়ে এত বেশি সম্পদ হারানোর রেকর্ড মাস্ক ছাড়া আর কারোই নেই।
শুধু টেসলা নয়, বরং টুইটারের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক। ২০২২ সালের অক্টোবরে বহু নাটকীয়তার পর ৪৪০০ কোটি ডলারে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইটটি কিনে নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি মাস্ক জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ টুইটারে নতুন সিইও নিয়োগ দেবেন তিনি।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় মাস্ক ও আর্নোর পরেই রয়েছেন ১১৭ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক জেফ বেজোস। আর ১১৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়ে তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
সময় জার্নাল/এলআর