স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংলিশ পেসার স্যাম কারানকে খেলার কোনো উপায়ই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না তামিম ইকবালের দল । ২ ওভার পার হতেই ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
লক্ষ্য ৩২৭ রানের। বাংলাদেশের দরকার ছিল দারুণ শুরু। কিন্তু হলো তার উল্টোটা। প্রথম ওভারেই সাজঘরের পথ ধরলেন লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্ত।
স্যাম কারানের ওভারের চতুর্থ বলে লিটন (১ বলে ০) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন। এর পরের বলে শান্তও মারেন গোল্ডেন ডাক (১ বলে ০), উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে দেন ক্যাচ।
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম হাল ধরবেন কি, ৫ বলে ৪ করে স্যাম কারানকে তৃতীয় উইকেট উপহার দেন, তিনিও উইকেটরক্ষক বাটলারের ক্যাচ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪ রান। তামিম ইকবাল ৯ আর সাকিব আল হাসান ১ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জেসন রয়ের সেঞ্চুরি আর জস বাটলারের ফিফটিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২৬ রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড।
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসভাগ্য সহায় ছিল বাংলাদেশের। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল।
ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দুই প্রান্ত থেকে স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তামিম। তবে সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম প্রথম চার ওভারে তেমন বিপদে ফেলতে পারেনি ইংল্যান্ডকে।
সপ্তম ওভারে এসে বাংলাদেশ সাফল্য পায় তাসকিন আহমেদের হাত ধরে। তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন ফিল সল্ট (৭)। প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্ত নেন মাটিতে ঘেষা দুর্দান্ত এক ক্যাচ। ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে ৫৪ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন জেসন রয়। আগের ওয়ানডেতে বিপদের মুখে হার না মানা সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছিলেন মালান। এবার অবশ্য ইংলিশ এই ব্যাটারকে ভয়ংকর হতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
মিরাজের ঘুর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মালান, ফেরেন ১১ করে। এরপর জেমস ভিন্সকে দ্রুতই সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল ইসলাম। ভিন্স ৫ করে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হন।
টপঅর্ডারের চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজনকেই ইনিংস বড় করতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার জেসন রয় এরই ঠিকই দাঁড়িয়ে যান। দারুণ ব্যাটিং করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি এই ব্যাটার।
সাকিবের ঘূর্ণি মিস করে এলবিডব্লিউ হন রয়। ১২৪ বলে ১৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১৮টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁকান ইংলিশ ওপেনার।
কিন্তু জস বাটলার ঝড় তুলে সেখান থেকে অনেকটা এগিয়ে দেন দলকে। অবশেষে বাটলার ঝড় থামে মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ এক ফিরতি ক্যাচে। ৬৪ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৭৬ রান করে ফেরেন বাটলার।
এরপর মঈন আলির ৩৫ বলে ৪২ রান আর শেষদিকে স্যাম কারানের ১৯ বলে ৩৩ রানের ক্যামিওতে ৭ উইকেটে ৩২৬ রানের পাহাড় গড়ে ইংলিশরা।
বাংলাদেশের বোলারদের সবাই খরুচে ছিলেন। তাসকিন আহমেদ ৬৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। মেহেদি মিরাজ ৭৩ রানে নেন দুটি।
সময় জার্নাল/এলআর