জেলা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদম রসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টের বয়লার বিস্ফোরণে আহত আরো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা সাত। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিকের নাম প্রবেশ শর্মা। তিনি উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার মতিলাল শর্মার ছেলে। তিনি সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অপারেটর ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই নয়ন শর্মা বলেন, ‘আমার বড় ভাই প্রবেশ শর্মা (৫০) অক্সিজেন কারখানার বিস্ফোরণে আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।’
এ ঘটনায় নিহত অন্য ছয়জন হলেন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিম রুগার ছেলে সেলিম (৪০), একই এলাকার মরহুম ইসমাইলের ছেলে শামসুল আলম (৫৮), সীতাকুণ্ডের জাফরাবাদ এলাকার মরহুম আবুল বশরের ছেলে মো: ফরিদ (৩২), লক্ষ্মীপুরের কমলনগর এলাকার মহিদুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৩০), নেত্রকোনার কলমাকান্দা এলাকার খিতিশ রংদীর ছেলে রতন নকরেক (৪৮), নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার মরহুম মকবুল আহমদের ছেলে মো: কাদের মিয়া (৫৫)।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘নিহতদের পরিবারকে কাফন-দাফন খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা ও আহত ১৮ জনকে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদম রসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে শিল্পে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন উৎপাদনকারী ‘সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে’ বিস্ফোরণ হয়।
সময় জার্নাল/এলআর