স্পোর্টস ডেস্ক:
মুলতান সুলতানসের বিরুদ্ধে পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ফখর জামান ম্যাচ জিতিয়েছিলেন লাহোর কালান্দার্সকে। পরে পেশোয়ার জালমির বিরুদ্ধে প্রথম লেগের ম্যাচে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ব্যক্তিগত ৯৬ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় পাকিস্তানি তারকাকে।
তবে এবার আর তিন অঙ্কের ইনিংস গড়া থেকে ফখরকে থামাতে পারলেন না কেউ। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফের লাহোরকে জেতালেন জামান। যদিও দলের জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন রশিদ খানও।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে লিগের ২৬তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে লাহোর ও ইসলামাবাদ। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লাহোর। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২৬ রানের বিরাট ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে ফখর জামান মাত্র ২৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ৫০ বলে। শেষমেশ ৮টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ১১৫ রান করে আউট হন ফখর।
এছাড়া কামরান গুলাম ৪১, স্যাম বিলিংস ৩২ ও রশিদ খান অপরাজিত ১২ রানের যোগদান রাখেন। রশিদ মাত্র ৫টি বল খেলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। ইসলামাবাদের ফজলহক ফারুকি ৪০ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন হাসান আলি ও মহম্মদ ওয়াসিম।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ ১৫.১ ওভারে মাত্র ১০৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। সুতরাং, দলগতভাবে ফখরের একার রানেই পৌঁছতে পারেনি তারা। লাহোর ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে এবং সেই সুবাদে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করে।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৫, অ্যালেক্স হেলস ১৮, কলিন মুনরো ১১, শাদব খান ১২ ও হাসান আলি ১৮ রান করেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই বলার মতো রান সংগ্রহ করতে পারেননি।
রশিদ খান ৪ ওভার বল করে ২১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন জামান খান। হ্যারিস রউফ নিয়েছেন ১৬ রানে ২টি উইকেট। ১৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন ডেভিড ওয়াইজ। শাহিন আফ্রিদি ও সিকন্দর রাজা উইকেট পাননি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ফখর জামান।
সময় জার্নাল/এলআর