নিজস্ব প্রতিনিধি:
শুক্রবার সকাল ১০টায় সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে এমবিবিএস (মেডিকেল) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। এবার মেডিকেলে ভর্তির জন্য অংশ নিচ্ছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১২ পরীক্ষার্থী।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত ভর্তি নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী- আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন অনলাইনে টেলিটকের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০৮টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ১১ হাজার ১২২টি। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১২ জন পরীক্ষার্থী।
দেশে মোট সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি। সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তি হতে পারবেন।
এছাড়া ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোট কেন্দ্র ১৮টি। মোট আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রী এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছেলে ৬৪ হাজার ২৬৪ (৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ) ও মেয়ে ৭৪ হাজার ৯৫৩ জন (৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ)।
মোট ভেন্যুর সংখ্যা ৫৭টি, মোট কক্ষ সংখ্যা এক হাজার ৯৭৭টি, ঢাকায় মোট আবেদনকারী ৫৭ হাজার ৪৩৬ জন, ঢাকায় ভেন্যুর সংখ্যা ১৮টি।
সরকারি মেডিকেল কলেজে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ জন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি আসনের জন্য ১২ দশমিক পাঁচজন পরীক্ষার্থী বলেও জানান মন্ত্রী।
সময় জার্নাল/এলআর