আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ চীনের আবারও প্রেসিডেন্ট হলেন শি জিনপিং। শুক্রবার (১০ মার্চ) চীনা আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে শি জিনপিংকে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভোট দিয়েছেন।
শি জিনপিং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে ২ হাজার ৯শ ৫২ ভোট পেয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অনুমতি দিলো সংসদ। এর আগে ২০১৮ সালেও সর্বসম্মতিক্রমে জিতেছিলেন তিনি। একই বছর দেশটির সরকার কিছু সাংবিধানিক বিধান বাতিল করে যা তাকে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে বাধা প্রদান করতে পারে।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আইনপ্রণেতারা উঠে দাঁড়ান এবং শির পক্ষে হাততালি দেন।
এদিকে, শনিবারই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বার্ষিক আইনসভার এ সম্মেলনে শিকে কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিযুক্ত করা হয়।
এনপিসি সাবেক দুর্নীতিবিরোধী প্রধান ঝাও লেজিকে নতুন নেতা হিসেবে নিযুক্ত করেছে। ওয়াং কিশানের স্থলাভিষিক্ত হ্যান ঝেংকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রাখা হয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, হ্যানের হংকং তত্ত্বাবধানে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বেইজিং একটি জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করে, রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের কারাগারে বন্দী করার অভিযোগ আছে এবং অনুগতদের আর্থিক কেন্দ্রের নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচনী ব্যবস্থার পুনর্গঠন করারও অভিযোগ আছে।
এর আগে গতবছর ২২ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সম্মেলনে শি জিনকে দলের মূল নেতা হিসেবে আবারও অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এর মাধ্যমেই নজীরহীনভাবে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসা পাকাপোক্ত হয় তার।
মাও সে তুংয়ের পর সবচেয়ে ক্ষমতাধর চীনা নেতা হিসেবে দেখা হয় শি জিনপিংকে। তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ায় চীনের ক্ষমতায় তার নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত হবে। অনেকেই মনে করছেন, এমনও হতে পারে যে, জিনপিং আজীবনের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন।
সময় জার্নাল/এলআর