সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী। শনিবার (১১ মার্চ) বিভাগের সাবেক সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো মিলিত হয়েছেন তাদের সাবেক শিক্ষায়তনে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুনর্মিলনীতে অংশ নিতে একদিন আগে থেকেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভাগটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই বন্ধুদের আবার কাছে পেয়ে আবেগে জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময়, আড্ডা আর দুষ্টুমিতে ফিরে গিয়েছেন অতীত জীবনে। সকলে গল্প, হাসি-আনন্দ আর সোনালী অতীতের স্মৃতি রোমন্থনে কাটিয়েছেন আনন্দঘন একটি দিন। পাশাপাশি স্মৃতির পাতায় দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন ছবি ও সেলফি তোলায়।
এদিকে সকাল ৯টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সাবেক-বর্তমান সকলের মাঝে লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনে পুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. গাজী মাহবুব মুর্শিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া ও কলা অনুষদের ডিন ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী।
এছাড়াও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আপনাদেরকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী বলতে চাই না। এ বিভাগের যারা দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। তারা আজ একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতে তাদের ফ্যামিলির কাছে এসেছেন। বর্তমানে শুধু বাংলাদেশই নয় বহির্বিশ্বে অ্যালামনাইরা উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান বা বিভাগকে আর্থিক ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি ভাষা একটি সমাজকে বিনির্মাণ করতে পারে। একটি কবিতা সামাজের বিশৃঙ্খলাগুলো নিঃশ্বেষ করতে পারে। একটি অস্ত্র দিয়ে আপনি যেটা করতে পারবেন না, একটি কথা অথবা একটি ভাষা দিয়ে দেশে একটি চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।’
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগটির জৈষ্ঠ্য অধ্যাপক ড. সরওয়ার মুর্শিদ। এবং আহবায়ক হিসেবে ছিলেন বিভাগটির অধ্যাপক ড. সাইফুজ্জামান।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র ও শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এর আগে শুক্রবার বিকেলে পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন সংলগ্ন আম বাগানে পিঠা উৎসবেরও অায়োজন করা হয়।
এমআই