আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদি আরবের তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো ২০২২ সালে ১৬১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এ আয় কোম্পানিটির এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বার্ষিক মুনাফা।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে জ্বালানির মূল্য বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে ওয়েল জায়ান্ট আরামকোর মুনাফা বাড়তে থাকে।
আরামকো আশা করছে, তাদের উৎপাদনও বাড়বে। কারণ চীন করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়ায় তাদের কারখানাগুলো পুরোদমে চালু হবে। আর তাতে করে তেলের চাহিদা বাড়বে। তা থেকে ফায়দা তুলতে পারবে সৌদি আরামকো। এই দাম বাড়ার ফলে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বি সালমানের মেগা প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে সহজ হবে।
অবশ্য, অনেকে তেলের উৎপাদন বাড়ার সমালোচনাও করেছে। তাদের মতে, জীবাস্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন বেগবান হচ্ছে। আবার জ্বালানি চাহিদা বাড়ার ফলে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টিও হয়েছে।
তবে সৌদি আরামকোর সিইও ও প্রেসিডেন্ট আমিন এইচ নাসের এক বিবৃতিতে তেলের বাজার নিয়ে সম্ভাবনার কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে তেল ও গ্যাস অপরিহার্য পণ্য হিসেবেই টিকে থাকবে। ফলে জ্বালানির দাম বাড়তেই থাকবে।
সৌদি আরামকোর লাভ আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে ৪৬.৫ ভাগ বেড়েছে। ২০২১ সালে তাদের মুনাফা ছিল ১১০ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২০ সালে ছিল ৪৯ বিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন ছিল। ফলে ২০২০ সালে তেলের চাহিদা বেশ কমে গিয়েছিল।
আরামকো ২০২২ সালে দিনে প্রায় ১১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উৎপাদন করে। তারা ২০২৭ সাল নাগাদ দিনে ১৩ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদনের আশা করছে।
উৎপাদন বাড়ার কারণে তারা চলতি বছর মেগা প্রকল্পগুলোতে ৫৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করছে।
বর্তমানে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি প্রায় ৮২ ডলার। তবে গত জুনে তা ১২০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সময় জার্নাল/এলআর