নিজস্ব প্রতিবেদক:
আর এক সপ্তাহ বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ছোলা ও ডালের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ- এমন খবরে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত। রমজানে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
প্রতিবছর রমজান মাস এলেই ছোলা, পেঁয়াজ ও ডালের বাজার অসহনীয় হয়ে ওঠে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শবে বরাতের আগেও এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। যদিও রমজানের এক সপ্তাহে আগে বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম কিছুটা কমেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট ও পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক দফায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের। রমজানে কী হবে— সেই চিন্তায় দিশেহারা তারা।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ছুটির দিনে রাজধানীর কচুক্ষেত ও ইব্রাহিমপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলার দাম মানভেদে ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও ছোলার দাম এমনি ছিল। এংকার ডাল কেজিতে ৫ টাকা কমে ৬৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০০ টাকা, মোটা হাইব্রিড মসুর ডাল ১১০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা ও মাসকালাইয়ের ডাল ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকা কমে মুগ ডাল ১১০ টাকা ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খেসারি ডাল ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেসন বিক্রি হচ্ছে ডালভেদে ৯৫ কেজি ১২০ টাকা। এংকার ডালের বেসন ৮০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ রয়েছে- এমন খবরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৩৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। রমজানে পেঁয়াজের বাজার কিছুটা বাড়তি যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দোকানিরা।
এমআই