নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০২৩ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার দেন। পদক বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা এ পদক নেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে চারজন, ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’-এ দুজন পুরস্কার পেলেন। এছাড়া ‘সাহিত্যে’ একজন, ‘সংস্কৃতি’তে একজন, ‘ক্রীড়া’য় একজন এবং ‘সমাজসেবা’য় একটি প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়েছে।
‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) সামসুল আলম, মরহুম লেফটেন্যান্ট এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ, শহিদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূইয়া এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম)। সামসুল আলমের পক্ষে তার স্ত্রী লায়লা বিলকিস এবং খাজা নিজামউদ্দিন ভূইয়ার পক্ষে ছোট ভাই হাসান মঈনুদ্দিন ভূইয়া পুরস্কার নেন।
‘সাহিত্য’ ক্যাটাগরিতে মরহুম ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) এবং ‘সাংস্কৃতি’তে পবিত্র মোহন দে এবং ‘ক্রীড়া’য় এ এস এম রকিবুল হাসান স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। সেলিম আল দীনের ভাই বোরহান উদ্দিন আহমেদ পুরস্কার নেন।
‘সমাজসেবা/জনসেবা’ ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’ ক্যাটাগরিতে নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ) এবং ড. ফিরদৌসী কাদরী স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনের নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণ’-এ পুরস্কার পাওয়া ফিরদৌসী কাদরী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর