ফারজানা মাহবুব :
আমি WE এর নাম দিলাম জীবন পাঠশালা।
আমাদের দেশে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি চাকরি করলে তাদের পেশা হিসেবে চাকরি টা লিখা হতো।
আর বাকি সবাই গৃহিণী।।
এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অর্ধেক গৃহিণী নারীরা Identity crisis এ ভোগে।
যারা সংসারের নানা ঝামেলায় নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পারে নি।
কিংবা অনেকে আমার মত
উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ছেড়ে শুধু মাত্র সংসারে মনোনিবেশ করে।
অনেক টা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
তাদের জন্য এক উজ্জ্বল আলোর দিশারি নিয়ে হাজির হলো WE
আমাদের মত অন্দরমহলের নারীদের জন্য আলোকবর্তিকা হাতে হাজির হলেন@নাসিমা আকতার নিশা।
তিনি এবং তার WE এর টিম আমাদের স্বনির্ভরতার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
WE আমার জীবন পাঠশালা
এখানে এসে শিখেছি
আমি হারবো না
আমাকে জিততে হবে।
আমি টলবো না
আমাকে লড়তে হবে।।
আমি ভাংবো না
আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
আমি কাঁদবো না
আমাকে হাসতে ই হবে।।।
কারণ
আমি জননী
আমি জায়া
আমি জয়ী
আমি মায়া।।
আমি স্বপ্ন দেখি
আমি আর Identity crisis এ ভুগবো না।
আমার পরিচয় একজন উদ্যোক্তা
উই এর হাত ধরে আমি সাহসী হতে শিখেছি।।
@নাসিমা আকতার নিশা আপু কে দেখে অনুপ্রাণিত হয় কিভাবে শুধু নিজের জন্য নই
অন্যের জন্য ও অন্যকে সাথে নিয়ে বাচতে হয়।।
Women and e-commerce Forum শুধু আমি নই
আমার মত লক্ষ লক্ষ হেরে যাওয়া নারীদের সাহসের বাতিঘর।।
আলোকিত মঞ্চ।
যেখানে দাঁড়িয়ে শুধু স্বপ্ন দেখার সাহস খুঁজে পাওয়া যায়।।
স্বপ্ন দেখতেও সাহস লাগে
আমরা যদি এ পি জে আবদুল কালাম এর স্বপ্ন নিয়ে বলা কথাটা বুঝি তাহলে স্বপ্ন কি তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
যে স্বপ্ন তুমি ঘুমিয়ে দেখো তা স্বপ্ন নয়
বরং যে স্বপ্ন তোমাকে ঘুমাতে দেয় না তাই স্বপ্ন
আসলেই ঘুমের স্বপ্ন ঘুম থেকে উঠলেই অনেক সময় মনেও করতে পারি না।।
কিন্তু যে স্বপ্ন আমি নিজের জন্য দেখি।
তা আমাকে ঘুমাতে দেয় না।
আমি মনে করি
স্বপ্ন দেখতে ও সাহস লাগে।।
আমি পারবো
আর আমাকে পারতেই হবে
এই মনোবল আর ইচ্ছে শক্তির সমম্বয়ে ই স্বপ্ন আসে।
এরপর এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা আর পরিশ্রম আর বুদ্ধি মত্তা আমাকে সে স্বপ্ন পুরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।।
সবসময়ই জেনে এসেছি
Man lives on hope
মানুষ তার আশা নিয়ে বাঁচে
মানুষ তার স্বপ্নের জন্যই বাঁচে।
স্বপ্ন হীন জীবন বেচে থাকার শক্তি খুঁজে পাই না।
তাই আমাদের কে আমাদের স্বপ্নের সাথেই বসবাস করতে হবে।।
স্বপ্নের সাথে লেগে থাকতে হবে।
স্বপ্নের পথে জেগে থাকতে হবে।।
তবেই স্বপ্ন পুরণের পথে আমরা সাহস করে শুরু করতে পারবো।
আমার কাছে সাহস করে শুরু করতে পারা অনেক বড় সাফল্য ।
বধু কোন আলো লাগলো চোখে
আমি কে?
আমি কি করি???
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেতে আজ আমরা মরিয়া হয়ে উঠেছি।
আমরা গৃহবঁধু।
শশুর শাশুড়ী বৌমা।
স্বামীর স্ত্রী
সন্তানদের মা।
আমরা ভালোবাসি সংসার, স্বামী, সন্তান আর শ্রদ্ধা করি সম্পর্কগুলোকে।
কিন্তু দিনশেষে কেন যেন মনের ভেতর একাকীত্ব।
নিজেকে গড়ে তোলার এক অদম্য ইচ্ছে মনের ভেতর গুমরে গুমরে কাদেঁ।
জীবনে যখন কিছুটা হতাশা আর কিছুটা না পাওয়ার বেদনায় জীবনের হিসেবের খাতাটা বন্ধ করে দেবো ভাবছিলাম তখন এক নতুন সোনার আলোয় জীবন ভরে গেলো ।
WE এ এসে মনে হচ্ছে আমি এক আলোকিত মঞ্চে এসে দাঁড়িয়ে আছি।
ছোট্ট একটা গৃহকোণ এ বসেও আজ আমি আলোর সাগরে স্বপ্নের ভেলা ভাসিয়ে যাচ্ছি আমার গন্তব্যে।
পথা জানা নাই
আর বলতে পারবোনা।
আমার পথ আছে।
আমার পথে চলার রথ আছে।
সাথে আছে সারথি ।
আমি আমার ভেলা বাইবো
জীবনের গান গাইবো।
কারণ আমার আছে We
আমাদের জন্য নিয়ে এসেছেন নতুন কিছু ।
আমরা ইনশাআল্লাহ আমাদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে জেতার রাস্তা খুঁজে নিতে পারবো।
ইনশাআল্লাহ আমার মত লক্ষ লক্ষ বধুর চোখে আলো নিয়ে এসেছে WE.
We এর পথে
We এর মতে
হাঁটবো মোরা একসাথে
আমিও পারি
এখন আমি আমার কাজের হিসেব দিতে পারি।
সারাদিন কি করো??
শুধু রান্নাবান্নাটাই তো করো ।
এই কথা শোনে নাই
অত ভাগ্যবতী আপু কয়জন আছে আমি জানি না।
হয়তো আছেন অনেক ভাগ্যবতী
আসলেই কি আমাদের কোন কাজ নেই।
নাকি কাজের মূল্যায়ন নেই।
জানি অনেকেই হয়তো বলবেন
কি দরকার এসব বলে।
কোন দরকার এ না
এমনই বলা
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানো পযন্ত আমরা আসলে কোন পেশার মানুষ পরিচয় দিতে পারবো?
না পারবো না।
একজন পুরুষ সে সংসারের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেও বাকি সব বিষয় একজন নারীকেই দেখতে হয়।
দিনের শুরু তে বাচ্চাদের সুইপার, ঘরের বাবুর্চিথেকে শুরু করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বাজার সরকার, বাচ্চাদের হাউস টিউটর, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের
নার্স হিসেবে ও নিয়োজিত থাকতে হয়।
তারপর ও দিন শেষে
আমরা কিছুই করি না
আসুন এত গুলো পরিচয় এর পরে ও নিজের একটা পরিচয় তৈরি করি।
নিজের Identity create করে সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াই।
যেন কেউ জানতে চাইলে বলতে পারি
হ্যাঁ আমিও কিছু
করি।
লেখক : ফারজানা মাহবুব
চট্রগ্রাম থেকে
সি ই ও অব ইচ্ছে ঝুড়ি