গোলাম আজম খান, কক্সবাজার:
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ), দুপুর প্রায় বারোটা। রমজানের প্রথম রোজার আগের দিন। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সোনাদিয়া পশ্চিমপাড়া ঝাউবীথির ছায়ায় বসে আছে একঝাঁক শিশু-কিশোর। সবার হাতে ময়লার বস্তা। চেয়ে আছে সমুদ্রপানে। অপলক দৃষ্টিতে। কী যেন চাওয়া! অনেক আগ্রহ তাদের।
জিজ্ঞেস করলে সবার একই জবাব, চাওয়া-ইফতারি। কারা যেন বলেছে, ‘ময়লা জমা দিলে ইফতারি পাবে!’ তাই দীর্ঘ অপেক্ষা। সকাল থেকেই বসে আছে।
কিছুক্ষণ পরে দেখা গেলো, কয়েকজন ব্যক্তি বস্তাভর্তি মুড়ি আর খেজুরের প্যাকেটসহ হাজির। ইতোমধ্যে লাইন ধরে আছে সোনাদিয়া দ্বীপের পূর্বপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার কয়েকশ মানুষ। বৃদ্ধ-নারীরাও লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
আয়োজক সংস্থা মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সবার হাতেহাতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইফতারি। বিনিময়ে তারা গ্রহণ করলো বাসাবাড়ি কিংবা ঘরের আঙিনা থেকে কুড়িয়ে নেওয়া ময়লা-আবর্জনার বস্তাগুলো।
এ সময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর সহকারী ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন, স্থানীয় মেম্বার একরাম মিয়া ও মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের মহেশখালী প্রতিনিধি একেএম হাসানুজ্জামান মৃদুলসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
অপেক্ষা কষ্টের হলেও ইফতারির প্যাকেট পেয়ে বেশ খুশি দ্বীপাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত বাসিন্দারা। তারা আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
বেজার সহকারী ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ কারণে দ্বীপকে পরিচ্ছন্ন রাখতে স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় বনবিভাগ ও বেজার সহযোগিতায় ইফতার ও ঈদ সামগ্রি বিতরণ করা হবে।
সোনাদিয়া দ্বীপে মাসব্যাপী ইফতার কর্মসূচিতে সহযোগিতা দিয়েছে বন অধিদপ্তর। পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।
এমআই