বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

মোরেলগঞ্জে দীর্ঘ ৮ মাসেও সন্ধান মেলেনি নুসরাতের

শুক্রবার, মার্চ ২৪, ২০২৩
মোরেলগঞ্জে দীর্ঘ ৮ মাসেও সন্ধান মেলেনি নুসরাতের

এম. পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে আর ফিরে আসেনি নুসরাত জাহান (২০) নামে এক তরুনী। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পশ্চিম চিপা বারইখালী গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে নুসরাতের এক লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে ঝালকাঠিতে বসে বিয়ে হয় রাজাপুর উপজেলার কেওতা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামে ওরফে জুবায়ের এর (৩১) সাথে।

বিয়ের ১৬দিন পরে নুসরাতকে বরযাত্রীসহকারে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুর। এরপর থেকেই মেয়েটি নিখোঁজ। 

নুসরাতের পিতা মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান, ঝালকাঠির কেওতা গ্রামের একটি মাদরাসায় চুক্তিভিত্তিক চাকুরির সুবাদে পরিচয় হয় ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে তরিকুল জুবায়েরের সাথে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তারা মোরেলগঞ্জে মহিউদ্দিনের বাড়িতে যায় এবং তার মেয়ে নুসরাতকে পছন্দ করে তরিকুলে সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

পরে ইসলামী শরা-শরীয়ত ও কাবিনমূলে ঝালকাঠি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাজি মো. নুরুজ্জামানের অফিসে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের ১৬দিন পরে নুসরাতকে কেওতা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যায় স্বামী পক্ষের লোকেরা। ওই সময় নুসরাতের সাথে তার ছোট বোন মাফুজা আক্তার(১৫) ও বড় ভগ্নিপতি মামুন শিকদার(৩০) ও কেওতা গ্রামে যায়। পরদিন মাফুজা ও মামুনকে মোরেলগঞ্জে ফেরত পাঠিয়ে দেয় নুসরাতের স্বামী ও শ্বশুর। এর পর থেকেই নিখোঁজ নুসরাত। 

মেয়ের সন্ধান পেতে আইনের আশ্রয় নেন মহিউদ্দিন হাওলাদার। ঝালকাঠির বিজ্ঞ মানব পাঁচার দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার পড়ে পিবিআই’র হাতে। তারা নুসরাতের কোন সন্ধান করতে পারেনি। তবে তারা আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। বাদি মহিউদ্দিন তাতে নারাজি দেন। পরে আবার বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তভার দেন ঝালকাঠি থানার ওপর। মামলাটির বর্তমান তদন্তকারি কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার এসআই গোবিন্দ মন্ডল শুক্রবার (২৪ মার্চ) জানান, মামলাটির তদন্ত চলছে। 

এদিকে মেয়ের সন্ধান পেতে গণমাধ্যম কর্মীদের দারস্থ হয়েছেন মহিউদ্দিন হাওলাদার। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি। এসময় তার স্ত্রী মানসুরা বেগম ও অপর ৩ শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন। 

সাংবাদিক সম্মেলনে মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী তাদের মেয়ে নুসরাতকে ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল