নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার ১৯ দিন পর দগ্ধ মো. হাসান (৩২) মারা গেছেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ১৯ দিন পর রোববার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে গুলিস্তান বিস্ফোরণে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৬ জনে।
মো. হাসান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার সোনাপুর গ্রামের আবু আহমেদ সিদ্দিকের ছেলে। তিনি গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় থাকতেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দগ্ধ মো. হাসান আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা গেছেন। বিস্ফোরণে তার শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
নিহতের ভাই রাহাতুল বলেন, আমার ভাই রাস্তায় হকারি করে স্কুলব্যাগ ও মানিব্যাগ বিক্রি করতো। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ও দগ্ধ হয়েছিল।
গত ৭ মার্চ বিকেল গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘কুইন টাওয়ার’ নামে সাততলা একটি ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পর উদ্ধারকাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজার ইউনিটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর বংশাল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ। পরে অবহেলার অভিযোগে মামলা করা হয়। এ মামলায় ভবনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।
সময় জার্নাল/এলআর