মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিআইইউ'র আবাসিক হলগুলোতে মশার রাজত্ব

রোববার, মার্চ ২৬, ২০২৩
ডিআইইউ'র আবাসিক হলগুলোতে মশার রাজত্ব

আসাদুজ্জামান, ডিআইইউ প্রতিনিধি:

সবখানেই মশা! সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যা; সবসময় যেন মশাদের রাজত্ব। দিনে একটু মশার উৎপাত কম হলেও সন্ধ্যা নামার সাথেই মশার উৎপাত বৃদ্ধি পায়।  পড়তে বসলেই মশা কানের  কাছে শুরু হয় মশার ভনভন শব্দ। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পরিচালিত আবাসিক হলগুলোতে মশাদের রাজত্ব থাকলেও নেই কার্যকর কোন পদক্ষেপ।

ফলে বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পড়তে বসলেই একটার পর একটা মশা কামড়াতে থাকে। মশার তাড়নায় শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন বেশি সময় পড়তে পারছেন না তেমনি আবার ক্ষতিকারক কয়েলের ধোঁয়া জ্বালাতেও পারছেন না। এমন চিত্র দেখা গেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আবাসিক হলগুলোতে। মশা নিয়ে শিক্ষার্থীদের  আকাশচুম্বী অভিযোগ থাকলেও যেন নেই সুরাহার পথ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকপক্ষ থেকে শুরু করে কারো যেন দায় নেই। 

পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ৯ টি আবাসিক হল রয়েছে। এসব হলে প্রায় ৮০০ এর বেশি শিক্ষার্থী বসবাস করছেন। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত মশার জন্যে কষ্টে রাত্রি যাপন করছে। মশার যন্ত্রণায় ঠিকমতো ঘুমানো কিংবা পড়াশোনা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ- আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।

সেই সাথে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। শীতকালে মশা একটু কম থাকলেও গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে হলগুলোতে। ফলে ডেঙ্গুর ভয়ে দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে পড়াশোনা করতে দেখা যায় আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের। এদিকে বেশকিছু শিক্ষার্থী মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তিও হয়েছেন।  
 
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ উল্লেখ করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আবাসিক হলের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসাইন বলেন,মশার সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে সন্ধ্যার পর রুমের দরজা ও জানালা খোলা যায়  না। খোলার সাথে সাথে রুমে  মশার সংখা বেড়ে যায় এবং রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। 

আবাসিক হলের আরেক শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, মশার কামড়ে পড়ালেখা, ঘুমানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর কয়েল ছাড়া পড়ার টেবিলে বসা যায় না। স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর দেখে 
বেশি সময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।মশার জন্যে আমার সামনে সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে আবাসিক হলের শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, আমাদের হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা দিনেও কয়েল জ্বালিয়ে অথবা মশারি টাঙিয়ে পড়াশোনা করেন। সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত বেড়ে যায়।ফলে আমাদের স্বাভাবিক পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।

মশার নিয়ন্ত্রনে হলগুলোতে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে হল সুপার ঠাকুর মণ্ডল দাস বলেন, এখন সারা দেশেই মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।আমাকে প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে কিছু বলা নাই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্দেশনা আসলেই এই বিষয়ে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে  মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে কোনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহাকে একাধিকবার কল করেও ফোনে পাওয়া যায়নি৷

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল