এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদী থেকে একটি লাইটার জাহাজে করে কয়লা পাঁচারের সময় ১১ জন শ্রমিককে আটক করেছে নৌ পুলিশের সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে ১১ জন শ্রমিকসহ লাইটার জাহাজটি আটক করা হলেও এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। তবে, শনিবার (১ এপ্রিল) জাহাজের চালক বাচ্চু মাঝি, মো. নান্টু খান ওরফে আসাদুল ইসলাম খানসহ আটক থাকা ১১ জন আনলোড শ্রমিককে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। জাহাজটিতে প্রায় ৪০ টন কয়লা বোঝাই ছিলো। এবং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নৌ পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সন্ন্যাসী নৌ-ফাঁড়ি পুলিশের ওসি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ‘মেসার্স রায়হান উদ্দিন আহম্মদ এন্ড সন্স কোং রায়েন্দা বাজার’ নামে লাইটার জাহাজটি পানগুছি নদীর পঞ্চকরণ নতুন বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এতে ইট ভাটায় ব্যবহারের জন্য কয়েক টন কয়লা রয়েছে। কয়লার পরিমান ও গন্তব্য জানা যায়নি। কয়লার ক্রয়-বিক্রয়ের কোন প্রকার কাগজ তারা দেখাতে পারেনি।
আটক হওয়া লাইটার জাহাজের মালিক শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, ‘জাহাজটি ইট ও কয়লা বহনের জন্য জনৈক বাচ্চু মাঝি ভাড়া নিয়েছেন। অবৈধ কয়লাসহ কোথাও আটক হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে, বাচ্চু মাঝির ফোন বন্ধ পাচ্ছি’।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানগুছি নদীতে চোরা সিন্ডেকেটের একটি চক্র জাহাজ থেকে তৈল, কয়লা ও খাদ্যসামগ্রী বিভিন্ন সময়ে পাচার করে আসছে। পঞ্চকরণ ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য জড়িত রয়েছে।
পঞ্চকরনের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. বেল্লাল হোসেন জানান, তার ক্রয়কৃত কয়লা মোংলা থেকে মোরেলগঞ্জের মুসলিম ইটভাটায় দেওয়ার নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্য জাহাজটি নৌ-পুলিশ সন্দেহজনক আটক করা করে।
এ সর্ম্পকে পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মাঝে মধ্যে পরিষদে আসেন। তবে, সে কি ব্যবসার সাথে জড়িত তিনি অবহিত নন, শুনেছি জাহাজের মাষ্টার।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশ খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. শরিফুর রহমান বলেন, কয়লাসহ আটক জাহাজের চালক বাচ্চু মাঝি কয়লার কাগজপত্র দেখানোর কথা বলে সময় নিয়েও ব্যার্থ হয়েছেন। মামলার প্রস্ততি চলছে।
সময় জার্নাল/এলআর