আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানটান উত্তেজনার পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নিজ আসন নন্দীগ্রামে পরাজয় মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাদ-বাকি আসনগুলোতে তৃণমূলের বড় বিজয়ের পর মু্খ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কিনা মমতা, এনিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩-১৬৪ ধারা মোতাবেক, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনো একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে। এ শর্তপূরণ সাপেক্ষেই পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন তিনি।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিতদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যাকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে, তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। অন্যদিকে, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলে তার ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে এ পদে দেখা যেতে পারে, এ ধরনের সংবাদও দেখা গেছে দেশটির বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২ মে) সন্ধ্যায় নানা ধোঁয়াশা ও টানাপোড়েনের পর মমতার পরাজয়ের খবর ঘোষণা করেন নির্বাচনটির রিটার্নিং অফিসার। আনন্দবাজার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে , ১ লক্ষ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট।