সময় জার্নাল প্রতিনিধি : মাদারীপুরের শিবচরে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সোমবার (০৩ মে) ভোর ৬টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, ভোরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোটে ২২-২৪ জন যাত্রী নিয়ে মাাদরীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে আসছিল। ঘাটের কাছাকাছি আসলে ঘাটের কাছে নোঙর করা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।
খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাঁতরে তীরে উঠছেন ৪ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
কাঁঠালবাড়ী নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি শিশু ও এক নারীকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোটে কতজন ছিলেন তা জানা যায়নি। তবে স্পিডবোটটি মাঝারি ধরনের। জীবিত উদ্ধারদের কাছ থেকেও এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে।
শিবচর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ শ্যামল বিশ্বাস ১৭ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাংলাবাজারের দিকে যাওয়ার সময় কাঁঠালবাড়ি (পুরাতন ফেরিঘাট) ঘাটের কাছে একটি বাল্কহেডের (বালু টানা কার্গো) পেছনে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন শিশু ও একজন নারী রয়েছে। মরদেহগুলো পুরান কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
করোনার মহামারি রোধে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকার পাশপাশি নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু অসাধু স্পিডবোট চালক অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার করে আসছে।