আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব যেন কমছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরো ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৪৭ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৪১৭ জন। আজ সোমবার (৩ মে) এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।
এ নিয়ে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো তিন হাজারের ওপর মৃত্যু দেখলো ভারত। আর এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৫৯ জনে। সবমিলিয়ে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০৪ জন।
এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতকে যেনো আষ্টেপিষ্টে ধরেছে। ভারতের করোনা ভাইরাসের বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন শীর্ষ মার্কিন মহামারী বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউচি।
মার্কিন প্রশাসনের চিফ মেডিক্যাল অ্যাডভাইজর অ্যান্থনি ফাউচি জানিয়েছেন, এই ভয়ানক সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে অবিলম্বে কয়েক সপ্তাহের লকডাউন জারি করা বাধ্যতামূলক দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া সাক্ষাতকারে ফাউচি বলেন, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ'ল অক্সিজেন, ওষুধ, পিপিই সরবরাহ করা।
তিনি বলেন, সঙ্কটের তীব্রতা দেখে ভারতের উচিত করোনা পর্যবেক্ষণ ডেডিকেটেড টিম গঠন করা। যারা অক্সিজেন, ওষুধ কিংবা পিপিই-র প্রতিটি বিষয় সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে রাখবে।
তার ভাষ্যমতে, একবছর আগে চিনে যখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়িয়েছিল তখন সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ লকডাউন কেউ চায় না। কিন্তু তাই বলে ছ’মাস লকডাউন করার প্রয়োজন নেই। তাতে অসুবিধা তৈরি হয়। কিন্তু শৃঙ্খল ভাঙতে সাময়িক লকডাউনের পথে হাঁটা যেতেই পারে।
সময় জার্নাল/আরইউ