স্পোর্টস ডেস্ক:
ন্যূ ক্যাম্পে করিম বেনজেমা শো, তুলে নিয়েছেন হ্যাটট্রিক। সুবাদে ৯ বছর পর কোপা দেলরের ফাইনালে চলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। স্বাগতিকদের বিধ্বস্ত করে শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে লস ব্লাঙ্কোসরা, সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে হেরে গেছে বার্সালোনা।
বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় নিয়ে এগিয়ে ছিল বার্সা। তবে আজ দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে হেরে গেছে তারা৷ ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে ফাইনালে পৌঁছে গেল লস ব্লাঙ্কোসরা৷ ২০১৪ সালের পর প্রথমবার প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে উঠল রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী ৬ মে ফাইনালে ওসাসুনার বিপক্ষে খেলবে তারা।
রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম গোলটি এসেছে ভিনিসিউস জুনিয়রের পা থেকে। বাকি তিনটিই করেছেন করিম বেনজেমা। ফলে টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন এই ফরাসী স্ট্রাইকার। আগের ম্যাচে লা লিগায় রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিক করেছিলেন বেনজেমা।
অবশ্য আজ বার্সেলোনাকেই ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল ম্যাচের আগে। কারণটাও পরিস্কার। চলতি মৌসুমের শেষ তিন বারের দেখায় বার্সালোনার কাছে তিনবারই হেরেছিল কার্লো আনচেলেত্তির শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুর দিকে অবশ্য তার প্রভাবও ছিল। নিজেদের মাঠে বার্সালোনা বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই খেলছিল।
শুধু নিয়ন্ত্রণে নয় বেশ কয়েকটি আক্রমণও করেছিল তারা। তবে সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণ হয় ১৪তম মিনিটে। আলেহান্দ্রো বাল্দের ক্রসে রাফিনিয়ার হেড করে বসেন। যদিও তা ঠেকিয়ে দেন থিবু কর্তোয়া। রিয়াল মাদ্রিদও বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোল আসছিল না। গোল মুখ খুলতে পারছিল না কোনো দলই।
যখন গোলশূন্যভাবে শেষ হতে যাচ্ছিলো প্রথমার্ধ, তখনই দূর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে সফরকারীদের দূর্গে আক্রমণ চালায় স্বাগতিকরা, তবে লেভানডফস্কির জোরালো শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন থিবু কর্তোয়া৷ তবে বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি তিনি।
কর্তোয়ার থেকে আসা ফিরতি বল নিয়ে আক্রমণে উঠে আসে রিয়াল। মাঝ মাঠ থেকে সেই বল নিয়ে এগিয়ে যান ভিনিসিউস জুনিয়র। করিম বেনজেমার সাথে বল পা বদল করে ফের শট নেন ভিনিসিউস, টের স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে ডুকে যায় জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, সেই সাথে এলিগ্রেটে ফেরে সমতায়।
বিরতি থেকে ফিরে আরো উজ্জীবিত হয়ে উঠে রিয়াল মাদ্রিদ। মিনিট পাঁচেকের মাথায় সাজানো পরিকল্পনায় দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। টনি ক্রুসের বাড়িয়ে দেয়া বল থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন করিম বেনজেমা। ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি টের স্টেগান। সুতরাং ২-০ হয়ে উঠে ব্যবধান।
ব্যবধান ৩-০ হতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি, ডি বক্সের ভেতর ভিনিসিউস জুনিয়রকে ফাউল করে বসেন রোনাল্ড আরুজু। সুবাদে পেনাল্টি উপহার পায় রিয়াল। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে গোল করেন করিম বেনজেমা। ম্যাচে যা তার দ্বিতীয় গোল। বেনজেমা তৃতীয় অর্থাৎ হ্যাটট্রিক গোলের দেখা পান ৮১তম মিনিটে।
এই গোলেও আছে ভিনিসিউসের অবদান। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে বার্সার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দ্রুতবেগে দৌঁড়ে আসেন তিনি, তবে সামনে জটলা বেঁধে যাওয়ায় ডান পাশে থাকা বেনজেমার দিকে বল ঠেলে দেন ভিনিসিউস৷ আর অনায়াসেই সেখান থেকে হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন বেনজেমা। রিয়াল মাদ্রিদও এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে। আর এই ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা।
সময় জার্নাল/এলআর