আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হারলেও গোটা রাজ্যে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছেন তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের আশঙ্কা ছিল ভোটের ফল বেরোনোর পর দিকে-দিকে শুরু হবে রাজনৈতিক অশান্তি। সেই আশঙ্কই প্রমাণিত হলো, গেল রাত থেকেই। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেল গত রাতে এখন পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে কলকাতার কাঁকুড়গাছির ঘটনাটি মারাত্মক।
রোববার রাতে কাঁকুরগাছির শীতলাতলা এলাকায় বিজেপি’র এক কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরেও। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতাপনগরে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদ করায় কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই হামলাতেই আহত হন হারান অধিকারী নামে স্থানীয় এক যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, গতকাল রোববার ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষের খবর আসতে থাকে।
অপরদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর থেকেই নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ভোট পুনর্গণনার দাবিতে সকাল থেকে নন্দীগ্রামের গড়চক্রবেড়িয়া ভূতা মোড়ে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় নন্দীগ্রাম-সোনাচূড়া সড়কে যান চলাচল। এতে সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
সময় জার্নাল/আরইউ