এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক নার্সকে চড় মারার জেরে রোগীর স্বজনদের আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিহতের লাশও আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
রোগীর স্বজনরা জানায়, গত ৩ এপ্রিল রাতে মাগুরার শ্রীপুর এলাকার আনোয়ারা বেগম নামের এক নারীকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিসিইউতে থাকা ওই রোগী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যায়। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ওষুধের ভুল প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে তার।
নিহতের ছেলের বউ সোনিয়া জানান, তাদের রোগীর মৃত্যু নিয়ে এ সময় রোগীর স্বজনদের সাথে কর্তব্যরত নার্সের কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে তার ভাই এক নার্সকে চড় মারে। এতে কর্তব্যরত নার্সরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে একপর্যায়ে তাদের সাথে ইন্টার্ণি চিকিৎসকরা যোগ দিয়ে নিহতের সন্তান অহিদুল ইসলাম ও তার বোনকে একটি কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে। খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার ও কোতোয়ালি থানার অফিসার ইন চার্জ এম এ জলিল সহ পুলিশের কয়েকটি টিম উপস্থিত হন এবং দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে রাত সাড়ে ১২ টায় আটক স্বজনদের উদ্ধার করেন এবং নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মামলা হয়নি। তবে লাশ আটকে রাখার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।
এদিকে এ বিষয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কেউ কোনো ধরনের কথা বলতে চাননি।
উল্লেখ্য, ঘটনার সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলেও ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে ইন্টার্ণি চিকিৎসকরা তাদের বাধা প্রদান করেন।
এমআই