নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি তিন দিন। এ তিন দিনের সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
সোমবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয় সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই বৈঠক। এতে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। সচিবালয় থেকে অংশ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বৈঠকে বেশ কয়েকটি আইনের খসড়া ও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধ বহাল রাখতে হবে অন্তত ১৬ মে পর্যন্ত। এ সময় দেশে বিপণিবিতান খোলা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করলে সেসব তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার না করলে প্রশাসনিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অতিরিক্ত কোনো বন্ধ দেওয়া যাবে না। সরকারি বন্ধ এমনি তিন দিন। তিন দিনের দুদিন শুক্র ও শনিবার পড়ছে। আরেক দিন বৃহস্পতিবার।
বেসরকারি খাতের কোনো প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পকারখানাও এ তিন দিনের বাইরে বন্ধ দিতে পারবে না। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে তিন দিন বন্ধ থাকবে পোশাকশিল্প খাত।
দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে গত ১৪ এপ্রিল এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। এরপর এক সপ্তাহ করে বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। বর্তমানে তৃতীয় সপ্তাহ চলছে। আগামী বুধবার (৫ মে) চলমান বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা।
সময় জার্নাল/আরইউ