মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেত্রী র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত নূরে-এ-জান্নাত।
শনিবার (০৭এপ্রিল) সকালে জামালপুর পৌর শহরের শহীদ হারুন সড়ক এলাকায় একটি মিডিয়া হাউজে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অভিযুক্ত নূরে- জান্নাত।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ফিসারী বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-এ-জান্নাত। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নূরে-এ-জান্নাত বলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা জয়া ও প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এনি একই বাসায় থাকে। এনি ও সিএসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদরকে জড়িয়ে নানা ধরনের কথা বলেন জয়া।
এ নিয়ে আদর আমাকে জয়ার সাথে কথা বলতে বলেন। আমি জয়াকে চিনতাম না। পরে তার বিভাগের একজনের কাছ থেকে তার ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে আমি এনিকে সাথে নিয়ে আমার সাথে দেখা করতে বলি। দুই দিন পর তিনি আমার সাথে দেখা করেন। এ সময় আমার সাথে আমার রুমমেট ছিলেন। আমি তার সাথে কুশল বিনিময় করি। কোথায় থাকে, তার সাথে কে কে থাকে সেসব বিষয়ে কথা বলি। পরে তাকে আমি বলি, তুমি যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমি তোমাকে একটা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবো। পরে জয়া বলেন, আপু সমস্যা নেই বলেন। আমি আদর ও এনির বিষয়ে জানতে চায়। এমন সময় জয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি সুস্থ্যতাবোধ করে এবং পরীক্ষা দিতে যায়। রাতে আবার তার খোঁজ নেই। তখনও সে সুস্থ্য আছে বলেন। পরে তিনি আমার নামে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জেরধরে বিরোধীপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা জয়া বলেন, ‘তিনি মিথ্যা বলছেন। আমার সাথে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। আমার সাথে এনি ছিলেন। আমাকে ১০মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। এখন তিনি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বলছেন'।
এমআই