নিজস্ব প্রতিবেদক:
সব হারিয়ে পথে বসা বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীরা এবার জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে চৌকিতে বসে বেচাকেনা শুরু করেছেন। গত ৪ এপ্রিল অগ্নিকাণ্ডে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা। দোকানপ্রতি এই জায়গায় চৌকি পেতে তারা সাধ্য অনুযায়ী মালামাল নিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে ব্যবসা শুরু করেছেন।
গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও প্রখর রোদের মধ্যে চৌকি পেতে ব্যবসা শুরু করেছেন অনেকে। তবে নিচে ইট-বালু উপরে তীব্র রোদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বঙ্গবাজারে কেনাকাটা বন্ধ থাকায় ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতিও নেই।
গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তারা। পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই পুড়ে যায় সবকিছু।
আগুন আশপাশের মার্কেটগুলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। আগুনে আশপাশের ছয়টি মার্কেটের কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ৩ হাজার ৮৪৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেদিনকার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঈদের আগে মজুত করা সব পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেখানকার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিয়ে ইট বিছিয়ে বালু ফেলা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ব্যবসায়ীদের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকে কিছু দূর পরপর কাঠের চৌকি বসানো হয় ব্যবসায়ীদের জন্য।
ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ শামিয়ানা টানিয়ে বসেছেন রোদের মধ্যে। কেউ কেউ মাটিতে ছাতা পুঁতে নিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের দোকান দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে কীভাবে দেবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি সুষ্ঠুভাবে দোকান বণ্টন না করা হয় তাহলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন দোকানিরা।
এমআই