আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার আফটার শকও অনুভূত হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত ৩টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এরপরেই সুনামি সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ। তবে দুই ঘণ্টা পর সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতেরও খবর পাওয়া যায়নি।
সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলীয় শহর পেডাংয়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা সুনামি সতর্কতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সুনামির সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়েছিল এবং মধ্যরাতে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
হেন্দ্রা নামে পেডাংয়ের এক বাসিন্দা বলেন, সুনামি আঘাত হানতে পারে এমন খবরে আমরা পালাতে শুরু করি। আমি শুধু আমার পরিবারকে সাথে নিয়ে পালাতে পেরেছি। আমরা আমাদের সাথে আর কিছু আনতে পারিনি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। দেশটিতে আগেও বহুবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
২০১৮ সালেও সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পের আঘাতে ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। এছাড়া গত জানুয়ারিতে দেশটির তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে একজন আহত হয়।
জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সি লোকজনকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে এবং পরিস্থিতি খারাপ দেখলেই দ্রুত স্থান ত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যদি ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে ভূমিকম্প হয় তবে সুনামির সম্ভাবনা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনকে অবিলম্বে উঁচু স্থানে চলে যেতে হবে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, মেনতাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। ওই এলাকাটি ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে বেশ কাছে অবস্থিত।
এর আগে ২০০৯ সালে পেনডাং এবং পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। এছাড়া আহত হয় আরও বহু মানুষ।
সময় জার্নাল/এলআর