এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সিন্ডিকেট চক্রের মূল হোতা সোহেল মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, সোহেল বোয়ালমারী উপজেলাধীন গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের মৃত জয়েনউদ্দীন মোল্লার ছেলে।
আলফাডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মুজিব শতবর্ষ পার্কের গেটের সামনে মোটরসাইকেল রেখে পাশের শ্রীরামপুর মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন শহিদুল ইসলাম। তিনি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের জয়েনউদ্দীন মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা শহিদুল ইসলামের মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিল। পরে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের একটি সড়কে বেরিকেড দিয়ে সোহেল মোল্যাকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের আরেক হোতা ও মাদক ব্যবসায়ী বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের রায়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান আব্দুল্লাহ্কে গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় সোহেলের নামে মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তাকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেহেদী হাসান আব্দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বোয়ালমারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেল মোল্যার বাড়ি থেকে ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকে সোহেল পলাতক ছিলো।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু তাহের এন, মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল চোরকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বোয়ালমারী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রায়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান আব্দুল্লাহকে একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোহেলের নামে থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার তাকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমআই