আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গত মাসে সুদানের দুই সামরিক উপদলের মধ্যে লড়াই শুরুর পর থেকে, দেশটির অন্তত ৩ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করে। একই সংবাদ সম্মেলনে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায়, ১ লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এক দিন আগে একটি অশুভ ভবিষ্যতবাণী করেছিল যে চলমান সংঘাতের কারণে, ৮ লাখের বেশি মানুষ উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারেন।
আরো একটি আপাত অস্ত্রবিরতি চুক্তির সময়সীমা বাড়ানো সত্ত্বেও, মঙ্গলবার সুদানের সরকারী বাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড-সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) এর মধ্যে লড়াই অব্যাহত ছিল। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ও আরএসএফ প্রধান মোহামেদ হামদান দাগালোর মাঝে সম্পর্কের অবনতি হলে, ১৫ এপ্রিল থেকে এই লড়াই শুরু হয়।
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ পর্যন্ত এ সংঘাতে ৫০০ জন নিহত ও ৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর গঠিত সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এই দুই জেনারেল পরস্পরের মিত্র ছিলেন।
সুদানে চলমান লড়াইয়ের কারণে বিদেশী রাষ্ট্রের সরকারগুলো তাদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
রুশ সেনাবাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, ৪টি সামরিক পরিবহনে করে ২০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তিনটি গাড়িবহরের মাধ্যমে শুক্রবার থেকে সাত শ’র বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। আর, গত মাসে সহিংসতা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ব্রিটেনের সরকার রোববার জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে আনার জন্য বাড়তি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর