এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট:
‘ওরা আমার পা ধরবে, মাফ চাইবে, টাকা দিবে এরপরে আমি ক্ষমা করবো। আমি প্রত্যেকটা হলে গিয়ে টিচারদের বলমু এদের সমস্যা আছে। তোরা এখন দল বাইন্ধা যাইয়া আমার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ উঠাইয়া আনবি। এখন সবাই লিখিত দিবি আমারা অভিযোগ উড্রো করলাম’। বুধবার বেলা ১২টার দিকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারি কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে শাসাতে গিয়ে এমন ভাষায় কথাগুলো বলেছেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সেতারা-আব্বাস টেকন্যিাল স্কুল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার।
ওই কলেজের ছাত্ররা গত শনিবার(২৯ এপ্রিল) অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রবেশপত্র আটকিয়ে জনপ্রতি ৮২৫ টাকা আদায়ের অভিযোগ করলে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বিনা টাকায় প্রবেশপত্র পায় ১৩ জন পরীক্ষার্থী। অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ অভিযোগকারি পরীক্ষার্থীদেরকে অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে তিনি শাসান। কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই সময়ে রুঢ় মেজাজে থাকা অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তারের কথাগুলো গোপনে মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে বিভিন্নজনের কাছে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় বিকেল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ৪ জন এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগের পরীক্ষার্থী।
অভিযোগের একাংশে তারা লিখেছেন,‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবেন। প্রবেশপত্রের বিনিময়ে ধার্যকৃত ৮২৫ টাকা করে দিয়ে তার পা ধরে মাফ চাইতে হবে। প্রতিজনকে ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে বোর্ড থেকে পাশ করে আসতে হবে’।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওই কলেজের সভাপতি এসএম তারেক সুলতান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই