এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (সদর আসন- ৩) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রায় তিন বছর যাবত তিনি ফরিদপুরে নেই । বতর্মানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিদেশে অবস্থান করছে। তবে কেউ কেউ বলছে ফরিদপুর সদর তিন আসনে উপ নির্বাচন হতে পারে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন তারা কোন উপ নির্বাচনের বিষয়ে তথ্য বা কোন চিঠি পান নাই।
এদিকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন একাধিক ফরিদপুরের আঃ লীগের নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ও বিদ্যুৎ খুটিতে পোস্টার লাগানো দেখা যায় মোঃ ফারুক হোসেনের।
ফারুক হোসেন একজন তুখোড় তৃণমূলের ছাত্র নেতা ছিলেন। বতর্মানে ফারুক হোসেন ফরিদপুর জেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি। ফারুক হোসেনের পোষ্টারে লেখা ফারুক হোসেন ভাই কে ফরিদপুর (সদর সংসদীয় তিন ) আসনে এমপি হিসাবে দেখতে চাই।
সাম্প্রতিক ফরিদপুরে এই আসনে তিন আঃলীগ নেতা মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে প্রচার ও প্রচারনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ফারুক হোসেন, ফরিদপুর জেলা আঃলীগের সভাপতি শামীম হক ও সাবেক জেলা আঃলীগের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে আজাদ।
এ কে আজাদ রমজান মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এগারোটি ইউনিয়নে অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরন করেছেন।
অপর দিকে জেলা আঃলীগের ব্যানারে সভাপতি শামীম হক ও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের সদর আসনটিতে কাকে মনোনয়ন দিবেন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের একক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
তবে ফরিদপুরের আঃলীগের একাধিক সাধারণ সদস্যদের দাবি ফরিদপুরের এমন একজন নেতা কে মনোনয়ন দেখা হোক যে নেতা বা নেতার নামে কোন টেন্ডার বাজি হবে না এবং কোন মাস্তান বাহিনীকে স্হান দিবে না। সকল কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা থাকবে।
বতর্মানে প্রচার -প্রচারনায় ফারুক হোসেন এগিয়ে আছে বলে জানান ফরিদপুরের সাধারণ জনগন।
এমআই