মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে প্রত্যাবাশনের পরিবেশ দেখে টেকনাফে ফিরেছে কর্মকর্তারা

শুক্রবার, মে ৫, ২০২৩
মিয়ানমারে প্রত্যাবাশনের পরিবেশ দেখে টেকনাফে ফিরেছে কর্মকর্তারা

গোলাম আজম খান,  কক্সবাজার প্রতিনিধি:

মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহর ঘুরে এসে রোহিঙ্গারা জানিয়েছে তাদের নাগরিকত্ব নিজেদের ভিটে মাটি এবং চলাফেরার স্বাধীনতা দিলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। মংডু শহরের পরিবেশ একটু ভালো হলেও গ্রামের পরিবেশে তারা সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তারা। 

রোহিঙ্গারা কোন ক্যাম্পে নয় নিজেদের ভিটে বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে গণমাধ্যমে এই মতামত ব্যক্ত করেন দুজন রোহিঙ্গা নেতা। 

তবে সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাখাইনের মংডু শহর ও গ্রামের পরিবেশ এখন অনেক ভালো। মংডু শহরে অধিকাংশ রোহিঙ্গা কাজ কর্ম করছে ঘুরছে অবাধে। রোহিঙ্গা সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। একদিনে তা সমাধান করা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং মর্যাদার ভিত্তিতে প্রত্যাবাশন করতে চায় বাংলাদেশ। 

মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাশনের পরিবেশ দেখে কক্সবাজারের টেকনাফে ফিরে এসেছে ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় তারা টেকনাফের ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌঁছে। 

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি দেখতে ২৭ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারের মংডু গিয়েছিলেন। 

প্রতিনিধিদলে রয়েছে ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা। এ ছাড়া আরও ৭ জন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।  প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন। 

টেকনাফে ট্রানজিট ঘাটে পৌঁছে প্রতিনিধি দল মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। এসময় রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ সুফিয়ান জানান আমি যে গ্রামের বাসিন্দা সে গ্রামের নিজের বাড়িতে গিয়ে আমার বাড়ি ভিটায় একটা ক্যাম্প করেছে। আমরা এই ক্যাম্পে নয় নিজের ভিটা মাটিতে ফিরতে চাই। আমাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। 

মিয়ানমারে যাওয়ার জন্য টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা, নয়াপাড়া ও জাদিমুড়া এলাকায় অবস্থিত ২৪, ২৬ ও ২৭ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ২০ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে বাছাই করা হয়েছে। 

এর আগে ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মিয়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই-বাছাই করেন।

প্রতিনিধিদলটি টানা সাতদিন টেকনাফের স্থলবন্দর রেস্ট হাউজে অবস্থান করে বাংলাদেশে আশ্রিত ১৪৭ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। আর তাদের দেওয়া বক্তব্য রেকর্ড করেন। গত ২২ মার্চ সকালে প্রতিনিধিদলটি নাফ নদী পার হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায়।

ওই সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যাদের প্রত্যাবাসন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে আগে থেকে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল শুত্রবার রাখাইন যাচ্ছেন। 

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল